কলকাতা, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১০:০০: ৪৩ টার মধ্যে ২৫ টা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পরিবর্তন করল বিজেপি। এখন প্রশ্ন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন? সূত্রের খবর, তাঁকে বাছতে খানিকটা দ্বিধা ধন্দে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এই পদে নাম উঠেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, শুভেন্দু দলকে জানিয়েছেন তিনি বিরোধী দলনেতার পদ এখনই ছাড়তে চান না। আবার সাংগঠনিক পদই তাঁর পছন্দ। বিজেপির অনেকেই আবার তা চান না। পাশাপাশি রাজকীয় পদে থাকা অবস্থায় সাংগঠনিক পদ পাওয়ার উদাহরণ বিজেপিতে নেই বললেই চলে। শুভেন্দুর যুক্তি ছিল তিনি জেপি নাড্ডার মত বিরোধী দলনেতা ও রাজ্য সভাপতির পদ ১৬ মাস চালিয়ে দেবেন।
পরের নাম এসেছে, দিলীপ ঘোষের। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বৃদ্ধি তাঁর হাত ধরেই হয়েছে। সঙ্ঘের প্রাক্তন সদস্যও তিনি। এর পরেই আছেন একদা সঙ্ঘের জেলা সংগঠনের পদ সামলানো দুই বারের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম। এছাড়াও জ্যোতির্ময় মাহাতো, অগ্নিমিত্রা পালের নাম উঠেছে। সবশেষে বিজেপির অন্দরে চর্চা হচ্ছে অনির্বাণ গাঙ্গুলীকে নিয়ে।
দিলীপ ঘোষ গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির ভিত শক্ত করতে পারলেও শহরের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও সচেতন নাগরিক সমাজের মন জয় করতে পারেনি। সুকান্ত মজুমদার শিক্ষিত অধ্যাপক হলেও তিনিও ব্যর্থ। যাদবপুরের ছেলে অনির্বাণ গাঙ্গুলী দিল্লীতে বসবাস করেন। তাঁকে যদি রাজ্য সভাপতি করা হয় তাহলে শহরকে মজবুত করার সম্ভাবনা আছে।
আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মহিলা হলে রাজনৈতিক আক্রমণ করা সহজ হয়। সেক্ষেত্রে অগ্নিমিত্রা পালের পাল্লা ভারী। বিজেপির যুক্তি, অগ্নিমিত্রা পাল কোনও রাজনৈতিক দল থেকে আসা ব্যক্তি নয়। ফ্যাশন ডিজাইন দুনিয়া থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিজেকে বিজেপি ঘরানায় তৈরি করতে বাকিদের তুলনায় অনেকটাই সফল। সঙ্ঘের সাথে তার সখ্যতাও বেশ ভালো।
এমন দ্বিধা-ধন্দের মধ্যে সুকান্ত মজুমদারকে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত রাজ্য সভাপতির পদে বহাল রাখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, তেমন হলে এখনই রাজ্য সভাপতির পদ ঘোষণা আপাতত করা নাও হতে পারে।
No comments:
Post a Comment