ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৩:০০: ধর্ষণ ও মহিলাদের শ্লীলতাহানির ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে রাজস্থানের রাজ্যপাল হরিভাউ বাগদে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাজ্যপাল বলেন, 'মহিলাদের হয়রানি করাদের মারধর করা এবং ধর্ষকদের নপুংসক করে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ, তবেই এই ধরণের অপরাধ কমে আসবে।'
সোমবার ভরতপুর জেলা আইনজীবী সমিতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল এই কথা বলেন। তিনি বলেন, "যখন শিবাজি মহারাজ আমাদের এখানে (মহারাষ্ট্রে) রাজত্ব করতেন, সেইসময় একজন প্যাটেল গ্রামের প্রধান ছিলেন। তিনি ধর্ষণ করেছিলেন। এর পরে, শিবাজি মহারাজ একটি আদেশ জারি করেন। তিনি বলেন, ধর্ষককে মেরো না, তার হাত-পা ভেঙে দাও। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে এমনই ছিল।"
রাজ্যপাল বলেন, 'মহিলাদের ওপর নির্যাতনের সময় লোকেরা ভিডিও তৈরি করে। এটা ঠিক নয়। যদি কোন মহিলার ওপর নির্যাতন বা শ্লীলতাহানি করা হয়, তাহলে সেই পুরুষকে ধরো। সে একজন পুরুষ, তুমিও একজন পুরুষ এবং তোমার সাথে ২ থেকে ৪ জন আসবে। যতক্ষণ না আমাদের মনে এই মানসিকতা না আসে যে আমাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে যৌন নির্যাতনকারী, ধর্ষককে থামানো এবং তাকে মারধর করতে হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অপরাধ বন্ধ হবে না।'
তিনি বলেন, 'অপরাধীরা আইনকে ভয় পায় কি না তা জানা যায় না। কিন্তু যদি কেউ ১২ বছরের কম বয়সী কোনও শিশুর ওপর যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ বা সমকামিতা করে, তাহলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবুও, এই ধরণের অপরাধ থামছে না এবং প্রতিদিনই এই ধরণের ঘটনা শোনা যাচ্ছে, যা দেখায় অপরাধীদের আইনের প্রতি কোনও ভয় নেই বলে মনে হয়। আইনের ভয়ের জন্য কী করতে হবে, আপনারা কী ভাবতে পারেন? আপনারা পরামর্শ দিতে পারেন, আইন থাকা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটে? এটা ভাবার মতো বিষয়।'
No comments:
Post a Comment