লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০:০০: উত্তরাখণ্ড তার বিশেষ এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য পরিচিত। বিশেষ করে এখানকার মিষ্টি খাবারগুলি উত্সবের মরসুমে খুব আনন্দের সাথে তৈরি এবং খাওয়া হয়। এই বিশেষ খাবারগুলির মধ্যে একটি হল চালের হালুয়া, যাকে স্থানীয় ভাষায় "চাউল কি সাই" বলা হয়। এই খাবারটি কুমায়ুন অঞ্চলে একটি প্রিয় এবং বিশেষ করে ফুল দেই উৎসবের সময় প্রস্তুত করা হয়। উৎসবের সময় এই হালুয়ার গুরুত্ব বেড়ে যায়।
চালের হালুয়া তৈরির পদ্ধতি
বাগেশ্বরের স্থানীয় বিশেষজ্ঞ রমেশ পার্বতীয়া লোকাল এইটটিন-এর সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতায় জানান, চালের হালুয়া তৈরির পদ্ধতি খুবই সহজ। প্রথমে চাল ভালো করে পিষে নিন। তারপর এই চালে গুড় মেশানো হয়। এর পরে, প্যানে ঘি দিয়ে এটি হালকা আঁচে ভাজতে হয় যতক্ষণ না হালুয়া পুরোপুরি ক্রাঞ্চি হয়ে যায়। হালুয়ার রং বাদামী না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। এই হালুয়া দেখতে বুন্দির দানার মতো হলেও এর স্বাদ আরও বেশি সুস্বাদু। কেউ কেউ দীপাবলিতেও এটি তৈরি করেন।
চালের হালুয়া স্বাদে খুব মিষ্টি এবং সুগন্ধযুক্ত। এটি গুড় এবং চালের মিশ্রণ থেকে তৈরি করা হয়, যা এর স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলে। কুমায়ুন অঞ্চলের লোকেরা এটি বিশেষ অনুষ্ঠানে তৈরি করেন এবং তারপরে পরিবারের সদস্য ও অতিথিদের পরিবেশন করেন। বিশেষ করে ফুল দে-এর মতো উত্সবগুলিতে, এই খাবারটি প্রতিটি বাড়িতে তৈরি করা হয়। উৎসবের সময় এই হালুয়ার গুরুত্ব বেড়ে যায় কারণ এটি শুধু স্বাদেই মিষ্টি নয়, এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও একটি অংশ।
চালের হালুয়া তৈরির এই পদ্ধতি উত্তরাখণ্ডের পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখছে। এই কুমাওনি খাবারটি খাদ্যপ্রেমীদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। চালের হালুয়া শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরই একটি অংশ নয়, এটি সেই অঞ্চলের মানুষের মাধুর্য্য এবং আতিথেয়তার অনুভূতিও প্রতিফলিত করে।
No comments:
Post a Comment