ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৬:০০: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধে সাময়িক বিরতির জন্য প্রস্তুত চুক্তিতে বাধা দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য আমেরিকার সামনে দুটি শর্ত রেখেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া চায় ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ার আগে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে; যার প্রথমটি হচ্ছে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য হতে বাধা দেওয়া এবং দ্বিতীয় দাবী ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনের চারটি এলাকা রাশিয়ার দখলকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া। উল্লেখ্য, রাশিয়া এর আগেও আমেরিকা এবং ন্যাটোর কাছে এই দাবীগুলি বহুবার উত্থাপন করেছে।
এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কী করবেন? জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতির পক্ষে কিন্তু পুতিনের হঠকারিতা তাঁর জন্য সমস্যা তৈরি করেছে।
এর আগে সৌদি আরবে ইউক্রেন ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বোঝাপড়া হয়। এরপর ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা রাশিয়ার কাছে পাঠায় আমেরিকা। কিন্তু পুতিনের শিথিল মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছিলেন যে, তিনি আশা করেন রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিনিধিরা রাশিয়া যাচ্ছেন। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুতিনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ট্রাম্প পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, 'রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গেলে তাকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এর আর্থিক ফল তাকে ভোগ করতে হতে পারে। আমরা কিছু পদক্ষেপ করতে পারি যা তাদের ওপর নেতিবাচক আর্থিক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি রাশিয়ার জন্য মারাত্মক হবে। আমি এটা চাই না কারণ আমার লক্ষ্য শান্তি আনা।'
জানা গেছে, এর আগে সৌদি আরবের জেদ্দায় আমেরিকা ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হয়েছিল। ঐকমত্য হওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, এখন এই প্রস্তাব রাশিয়ার কাছে পাঠানো হবে। এখন রাশিয়াকে এটিতে সম্মত হতে হবে, তারপর এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৌদি আরবে পৌঁছে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের মধ্যে এই বৈঠকটি মঙ্গলবার শান্তি চুক্তির জন্য ইউক্রেনের আধিকারিক এবং সৌদি-আমেরিকান প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার আগে অনুষ্ঠিত হয়।
No comments:
Post a Comment