লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০:০০: শণ বা তিসি বীজ বা ফ্ল্যাক্সসিড পুষ্টিতে ভরপুর, স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এবং কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য উপকারী। বেশির ভাগ মানুষই ওজন কমানোর জন্য এটি খান, তবে এটি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং ক্যান্সারের মতো অনেক রোগঝ প্রতিরোধ করতে পারে।
কিন্তু, ফ্ল্যাক্সসিডের অত্যধিক ব্যবহার কিছু ক্ষতির কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নিই তিসি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
তিসি বীজের উপকারিতা-
ওজন কমাতে সহায়ক
স্থূলতা বর্তমান সময়ের অন্যতম সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিসি বীজ ওজন কমাতে সহায়ক। এগুলোর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, যা ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস কমায় এবং ক্যালরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
তিসি বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লিগন্যান থাকে, যা শরীরে অ্যান্টি-ক্যান্সার কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়
শণের বীজে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস এবং বদহজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ফ্ল্যাক্সসিড খাওয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
তিসি বীজের অপকারিতা -
অ্যালার্জির ঝুঁকি
কিছু লোকের ফ্ল্যাক্সসিড খেলে অ্যালার্জি হতে পারে, যা চুলকানি, ফোলাভাব, লালভাব, বমি বমি ভাব এবং বমি বমি ভাবের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। যদি এটি ঘটে তবে অবিলম্বে এর ব্যবহার বন্ধ করা উচিৎ।
অন্ত্রের সমস্যা
শণের বীজ সবসময় জল বা অন্য কোনও তরল দিয়ে খাওয়া উচিৎ। এটি করা না হলে, এটি অন্ত্রে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তাই ফ্ল্যাক্সসিড খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন এবং প্রয়োজনের বেশি খাবেন না।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
তিসির বীজে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে, যা শরীরে ইস্ট্রোজেনকে প্রভাবিত করতে পারে। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে এবং হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের তিসি বীজ খাওয়া এড়ানো উচিৎ।
No comments:
Post a Comment