প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩০:০০ : আমরা সকলেই জানি যে যখনই কেউ কোনও কাজে বের হয়, তখন তাকে পিছন থেকে ডাকা হয় না। এটি একটি অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এমন একটি বিশ্বাস আছে যে পিছন থেকে ডাকলে তিনি যে কাজের জন্য বেরিয়েছেন তার সমাপ্তি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এছাড়াও, এটিকে কিছু দুর্ভাগ্যের সম্ভাবনার ইঙ্গিতও মনে করা হয়।
পরামর্শ দেওয়া হলো, বাধা দেওয়ার পরিবর্তে, তাকে কিছুক্ষণের জন্য থামানো উচিত। সেই সময় যাত্রা স্থগিত রাখা উচিত অর্থাৎ বাড়িতে এসে বিছানা বা চেয়ারে কিছুক্ষণ বসে থাকা উচিত, থুতু ফেলা উচিত বা এক গ্লাস জল পান করা উচিত, তারপর আবার যাত্রা শুরু করা উচিত।
তবে, জ্যোতিষীরা আরও বলেন যে এটি ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য বৈধ নয়। কিন্তু যদি বাচ্চারা না যাওয়ার জন্য জেদ করে, তাহলে সেই সময় একেবারেই যাবেন না। শিশুদের দেবতা হিসেবে দেখা হয়। মাঝে মাঝে বাচ্চারা বলতে শুরু করে, বাবা-মা, দয়া করে যেও না। তবে, যদি সে নিজে যাওয়ার বা কিছু নেওয়ার জন্য জেদ করে, তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার।
জ্যোতিষী কোমল চতুর্বেদী বলেন যে, শাস্ত্র অনুসারে, যখন কোনও ব্যক্তি কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ঘর থেকে বের হন, তখন অনেকেই পিছন থেকে কেউ ডাকলে তা অশুভ বলে মনে করেন। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, এটা বিশ্বাস করা হয় যে যে ব্যক্তি যাত্রা শুরু করেন তিনি ইতিবাচক শক্তি নিয়ে চলে যান। পিছন থেকে ডাকলে এই শক্তি ব্যাহত হতে পারে এবং যাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যখন একজন ব্যক্তি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাড়ি থেকে বের হন, তখন তার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হয়। পিছন থেকে ডাকলে তার মনোযোগ নষ্ট হতে পারে এবং সে তার পরিকল্পনা ভুলে যেতে পারে।
ভারতীয় ঐতিহ্যে বিশ্বাস করা হয় যে যখন কেউ যাত্রা শুরু করে, তখন তাকে কোনও বাধা ছাড়াই যেতে দেওয়া উচিত। যদি পিছন থেকে ডাকা হয়, তাহলে এটি অসম্পূর্ণ কথোপকথন বা অসমাপ্ত কাজের লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়, যা যাত্রা সফল হতে বাধা দিতে পারে। এই বিশ্বাস প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত, যখন মানুষ এটিকে কুসংস্কার নয় বরং একটি সামাজিক নিয়ম বলে মনে করত। এই বিশ্বাস সমাজে এতটাই গভীরভাবে প্রোথিত হয়ে ওঠে যে, পরবর্তীতে এটি অনুসরণ করা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। যদি কেউ ডাকে, তাহলে উত্তর না দিয়ে দুই-চার সেকেন্ড অপেক্ষা করা উচিত এবং তারপর চলে যাওয়া উচিত, অন্যথায় ঘরে আবার প্রবেশ করা, জল পান করা বা ঈশ্বরকে স্মরণ করা এবং তারপর আবার বেরোনো শুভ বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment