লাইফস্টাইল ডেস্ক ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০:০০: আপনার ত্বকে যদি খুব দ্রুত ট্যান হয়ে যায় তাহলে তা থেকে মুক্তি পেতে দামি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার দরকার নেই। ট্যানিং এবং সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও ব্যবহার করতে পারেন। দই, চালের আটা এবং মধু ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো থেকে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য অনেক উপকার হয়। এই ঘরে তৈরি পেস্ট ব্যবহারে শুধু ট্যানিংই দূর হয় না, ত্বকে প্রাকৃতিক আভাও আসে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে দই, চালের গুঁড়ো এবং মধু দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন এবং কখন লাগাবেন?
এই তিনটি উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী:
চালের আটা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে, কালো দাগ দূর করে, অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং নিস্তেজ ত্বককে উজ্জ্বল করে। প্রোবায়োটিক এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ দই ত্বকের জ্বালা প্রশমিত করে, লালভাব কমায় এবং গভীরভাবে হাইড্রেট করে। মধু হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, যা ব্রণর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, প্রদাহকে প্রশমিত করে এবং উজ্জ্বল আভা পেতে আর্দ্রতা লক করে।
কীভাবে ফেস মাস্ক বানাবেন?
১ টেবিল চামচ চালের আটার সাথে ১ টেবিল চামচ দই এবং ১ চা চামচ মধু মেশান। পেস্টটি মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশান। পরিষ্কার ত্বকে সমানভাবে পেস্টটি প্রয়োগ করুন এবং ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং তারপরে ময়েশ্চারাইজার লাগান। ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে সপ্তাহে ২-৩ বার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন।
সুবিধা কী?
এই পেস্ট ত্বকের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। ট্যানিং হ্রাস করে এবং ত্বকের টোনকে সমান করে। ত্বক নরম, কোমল এবং সতেজ অনুভব করে। এই পেস্ট ব্যবহার করে দেখুন এবং দেখুন। তবে মনে রাখবেন, ত্বকে নতুন যে কোনও কিছু ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট অবশ্যই করে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment