ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২:০৭:০০: এক বিদেশি পর্যটকসহ দুই মহিলাকে গণধর্ষণ এবং সঙ্গে থাকা তিনজন পুরুষকে মারধর করে জলে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য। শনিবার সকালে এর মধ্যে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। কর্ণাটকের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হাম্পিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে সানাপুর লেকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা ২৭ বছর বয়সী ইজরায়েলি মহিলা পর্যটক এবং ২৯ বছর বয়সী হোমস্টে অপারেটরকে ধর্ষণ করে।
ওড়িশার এক পর্যটক, যিনি ঘটনার সময় নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে ছিলেন, নিখোঁজ হয়েছিলেন। হামলাকারীরা তাকে তুঙ্গভদ্রা খালে ফেলে দেয়। শনিবার সকালে লেকে তার দেহ পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি, আমেরিকা এবং মহারাষ্ট্রের আরও দুই পর্যটক লড়াইয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এই জঘন্য অপরাধ তদন্তে পুলিশের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর গঙ্গাবতী পল্লী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতের দেড় উদ্ধারের পর এখন খুনের ধারাও যুক্ত করা হবে।
এফআইআর অনুসারে, চার পর্যটক এবং একজন হোমস্টে অপারেটর সানাপুর লেকের কাছে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এরপর মোটরসাইকেলে তিনজন সেখানে পৌঁছে পেট্রোল পাম্পের কথা জিজ্ঞেস করতে থাকে। হোমস্টে অপারেটর জানালে আশেপাশে কোনও পেট্রোল পাম্প নেই, তারা টাকা চাইতে শুরু করে। পর্যটকরা তাদের টাকা দিতে না করলে অভিযুক্তরা, যারা কন্নড় এবং তেলেগু ভাষায় কথা বলছিলেন, তাঁদের গালিগালাজ ও মারধর শুরু করে। এরপর তারা তিন পুরুষ পর্যটককে জোর করে খালে ফেলে দেয়।
ভুক্তভোগীর মতে, যখন তার বন্ধুরা খাল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তিনজন হামলাকারীর মধ্যে দুজন তাঁকে এবং ইজরায়েলি মহিলাকে ধর্ষণ করে । ঘটনার পর থেকে পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযুক্তদের খোঁজে ব্যস্ত রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে ডগ স্কোয়াড এবং দমকল বিভাগের আধিকারিকরা নিখোঁজ পর্যটককে খুঁজছিলেন, শনিবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এখন অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
No comments:
Post a Comment