লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৩০:০০: দুপুরের খাবার খাওয়ার পর চোখ ভারী হতে থাকে এবং ঘুম আমাদের নিজেদের বশে নিতে শুরু করে। ঘুমের এক অদ্ভুত অনুভূতি মাথার ওপর ভর করে। কারও কারও দিনের বেলা ঘুমানোর অভ্যাস থাকে। তাঁদের কথায় এটি এনার্জি রিচার্জ করে। আবার কেউ কেউ দুপুরের ঘুমকে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করেন না। তাঁরা মনে করেন যে, এটি ঘুম নয়, কেবলই আলস্য। কিন্তু দুপুরে ঘুমানো উচিৎ কি না, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, আসুন জেনে নেই-
আপনি যদি রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারেন বা মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে দুপুরে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের ঘুম আপনাকে সতেজ করতে পারে। একে বলা হয় পাওয়ার ন্যাপ, যা মস্তিষ্কের উৎপাদনশীলতা, মেজাজ এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। এনআইএইচ (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ) অনুসারে, দুপুরে ২০ মিনিটের ঘুম হার্টের স্বাস্থ্য এবং চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। সম্প্রতি, একটি নতুন গবেষণায়, দুপুরে ২০ মিনিটের জন্য ঘুমানো, ভালো বলে বিবেচিত হয়েছে।
দিনের বেলা কখন ঘুমানো ক্ষতিকর?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি দুপুরে ১ ঘন্টার বেশি ঘুমান বা প্রতিদিন গভীরভাবে ঘুমান, তাহলে তা আপনার রাতের ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে এবং শরীরের ঘুমের চক্র ব্যাহত হতে পারে।
দুপুরে ঘুমের ব্যাপারে সতর্কতা
১. দুপুরের ঘুমের সময় ৪ টার পরে হওয়া উচিৎ নয়। দীর্ঘ ঘুমের কারণে তন্দ্রা এবং মাথাব্যথা হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে তাঁদের সতর্ক হওয়া উচিৎ।
২. দুপুরে ঘুম শিশুদের জন্য উপকারী এবং বয়স্কদের জন্য প্রয়োজনীয়। কর্মরত পেশাদাররা একটি পাওয়ার ন্যাপ নিতে পারেন।
৩. যারা রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন তাঁদের জন্য দুপুরের ঘুমের প্রয়োজন নেই।
৪. আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে না বা অনিদ্রায় ভুগছেন, তবে দুপুরের ঘুম আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৫. দুপুরে ২০-৩০ মিনিটের বেশি ঘুমাবেন না। ঘুমের জন্য একটি শান্ত এবং অন্ধকার জায়গা বেছে নিন, দুপুরের খাবারের পরপরই ঘুমোবেন না, ঘুমের সময় নিয়মিত রাখুন এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ১ গ্লাস জল পান করুন। আর হ্যাঁ ঘুমের সমস্যা একটানা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment