প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩০:০১ : ব্যক্তিগত এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন চুল অপসারণের কথা আসে, তখন প্রায়শই দ্বিধা থেকে যায় যে শেভ করব নাকি ওয়াক্স করব? উভয়েরই নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল চুল অপসারণের পরে ত্বকের সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া উচিত, অন্যথায় ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং কালোভাব বাড়তে পারে।
শেভিং একটি সহজ, কম সময়সাপেক্ষ এবং ব্যথাহীন পদ্ধতি, যা আপনি বাড়িতেই করতে পারেন। কিন্তু এর ফলে চুল দ্রুত গজায় এবং ত্বকে ফুসকুড়ি বা জ্বালা হতে পারে। ওয়াক্সিং একটু বেদনাদায়ক হলেও, এটি চুলের বৃদ্ধি বিলম্বিত করে এবং ত্বককে মসৃণ রাখে। তবে, ওয়াক্সিং করার পর যদি ত্বকের যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে লালচে ভাব, জ্বালা বা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
ব্যক্তিগত জায়গার জন্য শক্ত মোম সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। এটি বিশেষ করে বিকিনি এলাকা, আন্ডারআর্মস, মুখের মতো সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহৃত হয়। এতে ব্যথাও কম হয়, কারণ এটি কেবল চুল ধরে, ত্বকে নয়। এটি চুলের গোড়া থেকে তুলে ফেলে, ফলে চুল গজানোর ঝুঁকি কমায়।
ওয়্যাক্সিং বা শেভিং করার পরপরই, ত্বককে প্রশমিত করতে এবং জ্বালা কমাতে ঠান্ডা জল দিয়ে গোপনাঙ্গ ধুয়ে ফেলুন। এরপর, পরিষ্কার কাপড় দিয়ে সেই অংশটি আলতো করে শুকিয়ে নিন, ঘষবেন না। তারপর ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল লাগান। এটি জ্বালাপোড়া কমায় এবং ত্বককে নরম করে তোলে। চুল অপসারণের পরপরই টাইট অন্তর্বাস বা পোশাক পরলে ত্বকে ঘর্ষণ হয়, যার ফলে ফুসকুড়ি হতে পারে। অপসারণের পর কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা ঘষবেন না বা কড়া সাবান ব্যবহার করবেন না।
No comments:
Post a Comment