প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০:০১ : চীন থেকে আসা পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নিজেই ট্রুথ সোশ্যালে এটি ঘোষণা করেছিলেন, অন্যদিকে ট্রাম্প আরও ৭৫টি দেশের উপর আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। ট্রাম্প বলেন, "এই সমস্ত দেশ আমেরিকার সাথে বাণিজ্য আলোচনা করতে প্রস্তুত।"
বুধবার (৯ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেস্যান্ট বলেন, ভারত এমন একটি দেশ যা আমাদের সাথে শুল্ক নিয়ে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে। চীনের উপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক সম্পর্কে তিনি বলেন যে, "চীন বিশ্ব বাজারে অন্যায্যভাবে ব্যবসা করছে বলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চীনের অর্থনীতি ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছে। এই শুল্ক কেবল চীনের জন্য নয়, বরং বাণিজ্য নিয়ম লঙ্ঘনকারী দেশগুলির জন্যও।"
অর্থমন্ত্রী স্কট বেস্যান্ট জোর দিয়ে বলেন যে এই ধরনের পদক্ষেপ চীনের মতো দেশগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, যারা বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, "শুল্ক ঘোষণার মধ্যে, বাণিজ্য ইস্যুতে আমাদের মূল আলোচনা ভারত, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে চলছে, যারা সকলেই চীনের প্রতিবেশী। আমরা ওই সমস্ত দেশের সাথে শুল্কের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাই এবং যারা এগিয়ে আসবেন এবং তাদের প্রস্তাব পেশ করবেন তাদের পুরস্কৃতও করব। আমরা তাদের জন্য ইতিমধ্যে প্রযোজ্য শুল্ক ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার কথা বিবেচনা করছি।"
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন যে বিশ্ব চীনের দিকে নয়, আমেরিকার দিকে তাকিয়ে আছে, কারণ তাদের আমাদের বাজারের প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন যে, সংবাদ মাধ্যম "দ্য আর্ট অফ দ্য ডিল" উপেক্ষা করেছে, কিন্তু বাস্তবে বাকি বিশ্ব এখন চীন থেকে দূরে সরে আমেরিকার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।
আমেরিকা ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর, চীন আগের ৩৪ শতাংশ শুল্ক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮৪-এ নিয়ে যায়। এই সিদ্ধান্তের পর, আমেরিকা চীনের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এর সাথে সাথে, বাকি ৭৫টি দেশের উপর ৯০ দিনের জন্য শুল্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। চীনের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ১২৫% শুল্ক বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের এক নতুন যুগের সূচনার ইঙ্গিত দেয়। এই পদক্ষেপটি রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতির একটি সম্প্রসারণ। তবে, আগামী মাসগুলিতে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে এই সংঘাত উত্তেজনা বাড়াবে নাকি নতুন বাণিজ্য ভারসাম্যের জন্ম দেবে।
No comments:
Post a Comment