লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০:০০: কিছু বন্য ভেষজ অনন্য। বিধারাও এর মধ্যে একটি। বিধারা পুরুষদের জন্য টনিকের থেকে কম নয়। এটি আরও অনেক নামেও পরিচিত। কিছু কিছু জায়গায় একে আধোগুড়াও বলা হয়। আসামে, বিধারা ঔষধি ব্যবহারের জন্যও চাষ করা হয়। যদিও, এটি চেনা সহজ নয়। অতএব, বুনো ভেষজগুলির মধ্যে কোন বিধারা রয়েছে, তা কেবল বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারেন। বিশেষ বিষয় হল বিধারার শিকড় ও পাতায় রয়েছে ঔষধি গুণ। এই টনিক শুধু পুরুষদের জন্যই উপকারী নয়, এটি মহিলাদের জন্যও সমান উপকারী।
ঔষধি গুণের ভাণ্ডার
এশিয়ান জার্নাল অফ ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস, গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে, বিধারাতে এত ধরণের যৌগ রয়েছে যে এটি ভবিষ্যতে অনেক ওষুধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল হয়ে উঠতে পারে। দাবী করা হয় যে, বিধারাতে অনেক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যানালজেসিক, হেপাটোপ্রোটেকটিভ এবং অ্যাফ্রোডিসিয়াক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। বিধারার এই গুণের কারণে ডায়াবেটিস, জয়েন্টে ব্যথা, আলসার, মহিলাদের গনোরিয়া, চর্মরোগ, বাত ইত্যাদি রোগ নিরাময় করা যায়।
শিরায় প্রাণ আনে
দেহের শিথিল স্নায়ুতে প্রাণ আনতে পারে বিধারা। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, স্টেরল গ্লাইকোসাইড এবং অপরিহার্য তেলও বিধারাতে পাওয়া যায়, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে। এটি শরীরের স্নায়ুগুলিকে মসৃণ করে এবং এগুলো শিথিল করে, যা শরীরের প্রতিটি অংশে স্নায়ুর প্রতিটি ছিদ্র খুলে দেয়। স্নায়ু ঠিক থাকলে মেজাজ ভালো থাকে এবং শরীরে বার্তা আদান-প্রদান ঠিক থাকে। এর ফলে শরীরে শক্তি ও স্ট্যামিনা আসে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, বিধারা খাওয়ার মাধ্যমেও মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করা যায়। বিধারার শিকড়ে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা স্মৃতি অংশকে সক্রিয় করে।
পুরুষদের জন্য টনিক
বিধারা খাওয়া পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ায়। এতে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে। যেহেতু বিধারা স্নায়ুতন্ত্রকে মসৃণ করে, তাই এটি পুরুষদের স্ট্যামিনাও বাড়ায়। বিধারায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। বিধারাও একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী। বিধারার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা প্রদাহজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। বিধারা খেলে অনেক ধরণের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বি.দ্র: এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদানের করে। এটি কোনও ভাবেই যোগ্য চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। যেকোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment