লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩০:০০: জবা বা হিবিস্কাস ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। এটি লাল, গোলাপী, হলুদ, সাদা এবং কমলা রঙের। এটি সহজে প্রস্ফুটিত হওয়া ফুল। তবে শুধু দেখতে সুন্দর নয়, এটি অত্যন্ত উপকারীও। এই ফুল অনেক দেব-দেবীরও প্রিয়। হিবিস্কাসের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। আয়ুর্বেদে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা রয়েছে। হিবিস্কাস ফুল অনেক রোগ নিরাময় করতে পরিচিত। অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এই ফুল দিয়ে। আসুন জেনে নেই হিবিস্কাস ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে...
হিবিস্কাস ফুলের উপকারিতা
- ডাঃ প্রমোদ আনন্দ তিওয়ারি (এমডি), বিএএমএস, বেবের আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, পাঞ্জাব, বলেছেন যে, হিবিস্কাস ফুল ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। ইংরেজিতে একে বলে হিবিস্কাস।
হিবিস্কাস আয়ুর্বেদে জপা নামেও পরিচিত। পূজার পাশাপাশি অনেক রোগের চিকিৎসায় এই ফুল ব্যবহার করা হয়। এটি চুলের সমস্যায় উপকারী। এর ফুলের ক্বাথ তৈরি করে চুলে লাগালে খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি চুলে উজ্জ্বলতা আনে। আমলকির পাউডারের সাথে মিশিয়ে লাগালে চুল অনেকদিন কালো থাকে।
- ঘুমের অভাবে অনেক রোগ হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনিদ্রায় ভুগছেন এমন মানুষের জন্যও হিবিস্কাস খুবই উপকারী। হিবিস্কাস ফুল থেকে তৈরি শরবত পান করলে অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শরবত তৈরির জন্য ফুলের সাথে মিছরি মিশিয়ে নিতে হবে।
- এই ফুল মহিলাদের লিউকোরিয়ার বা সাদা স্রাবের সমস্যা দূর করে। হিবিস্কাস কুঁড়ি পিষে পান করলে উপকার পাবেন। নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা দুধের সাথে হিবিস্কাস ফুলের গুঁড়ো খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি দূর হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। লিউকোরিয়ার পাশাপাশি এটি পিরিয়ডের সময় হওয়া সমস্যারও শত্রু।
-পাকস্থলী পরিষ্কার না থাকলে তাপে মুখে আলসার হয়। এতে খাবার, জল বা অন্য কিছু খাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। মুখের ঘা সারাতে হিবিস্কাস মূল খাওয়া যেতে পারে। মূল পরিষ্কার করার পর পানের মতো মুখে চিবিয়ে খেতে হবে। এটি মুখের ঘা নিরাময় করে।
- এই ফুল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। খুব বেশি জ্বরের ক্ষেত্রে হিবিস্কাস পাতার ক্বাথ খাওয়া উচিৎ। এটি শুধু জ্বরই নিরাময় করে না, সর্দি-কাশি থেকেও মুক্তি দেয়। হিবিস্কাস হৃদরোগ নিরাময়েও কার্যকর।
বি.দ্র: যে কোনও সমস্যায় ও নতুন কিছু ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment