প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৫:০১ : একজন ভারতীয় মহাকাশচারী এখন মহাকাশ জগতে একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন এবং তার সাথে এমন একটি প্রাণীকে নিয়ে যাচ্ছেন, যার কথা জানলে আপনি অবাক হবেন। এই মিশনের নাম অ্যাক্সিওম-৪ এবং ভারতের শুভাংশু শুক্লা এতে উড়তে চলেছেন। তিনি কেবল মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাবেন না, সেখানে বাস করবেন এবং কাজ করবেন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, তিনি তার সাথে ভয়েজার টার্ডিগ্রেডস নামক একটি অদ্ভুত এবং বিকৃত চেহারার অণুবীক্ষণিক জীবকে নিয়ে যাবে। কেন ইসরো এই অদ্ভুত প্রাণীটিকে মহাকাশে পাঠাচ্ছে... আসুন জেনে নেওয়া যাক।
একে জল ভালুক বা শ্যাওলা শূকরও বলা হয়। এই অণুজীবগুলি এত ছোট যে মাইক্রোস্কোপ ছাড়া এগুলি দেখা যায় না। এই প্রাণীটি কোনও আশ্চর্যের চেয়ে কম নয়। জল, বরফ, আগুন, শূন্যস্থান, বিকিরণ, এমনকি মহাকাশের কঠোর পরিস্থিতিও এটিকে ধ্বংস করতে পারে না। তাদের শরীরে আটটি পা এবং থাবায় ছোট ছোট নখ থাকে। তাদের হাঁটার ধরণ অনেকটা সুন্দর ভালুকের মতো, যারা ধীরে ধীরে পা ফেলে।
এই পরীক্ষায়, শুক্লা এই টার্ডিগ্রেডগুলির সাথে ১৪ দিন মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন। হ্যাঁ, এই প্রাণীর পুনরুজ্জীবন, বেঁচে থাকা এবং প্রজনন নিয়ে গবেষণা হবে। মহাকাশের মাইক্রোগ্রাভিটিতে এই অদ্ভুত প্রাণীগুলি কীভাবে ঘুম থেকে জেগে ওঠে, তারা ডিম পাড়ে কি না এবং যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে তাদের বাচ্চাদের জন্ম কীভাবে হয় তা দেখা হবে। এছাড়াও, মহাকাশে বসবাসের পর তাদের ডিএনএতে কী পরিবর্তন ঘটে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই গবেষণার উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের নিরাপদ রাখা, দীর্ঘ মহাকাশ ভ্রমণের জন্য মানবদেহ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। ইসরোর এই অভিযানের মাধ্যমে, ভারত প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি সরাসরি পরীক্ষা পরিচালনা করবে এবং তাও এমন একটি প্রাণীর সাথে যে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়ে না।
No comments:
Post a Comment