মালদা, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৫:০০: কল থাকলেও জল নেই। গ্রামে দীর্ঘ দু'মাস ধরে বন্ধ পিএইচই'র জল সরবরাহ। মাঠ থেকে স্যালো মেশিনের জল এনে পান করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের, এমনই অভিযোগ। আর বৈশাখের তপ্ত সময়ে পানীয় জল সংকটে চরম সমস্যায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুর গ্রামের মানুষেরা। আর তাই রবিবার সকালে জলের দাবীতে রাস্তায় নেমে খালি বালতি হাতে নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হলেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় বছর আগে ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈরাট জল সরবরাহ প্রকল্পটি চালু হয়। সেই প্রকল্প থেকে নাজিরপুর গ্রামের মানুষ জল পাচ্ছিলেন। আট মাস জল পেলেও দীর্ঘ দু'মাস ধরে আর জল পাচ্ছেন না। অন্যান্য গ্রামে জল সরবরাহ হলেও এই গ্রামের মানুষ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। অভিযোগ, পিএইচই দফতর থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি প্রকল্পের পাইপ লাইনের সংযোগ থাকলেও দীর্ঘ দুই মাস ধরে বাড়িতে জল আসে না। সরকারি নলকূপে আয়রণ বেশি থাকার কারণে জলপান করার উপযোগী নয়। নিজের বাড়ির ট্যাপে জল না পাওয়ায় হাফ কিলোমিটার দূরে স্যালো মেশিনের জল এনে খেতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তফিজুল ইসলামের কথায়, 'গ্রামে ১৬০ টি পরিবারের মধ্যে ১০০ টি পরিবারে ট্যাপ কল কানেকশন রয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাকি ৬০ টি পরিবারে এখনও কানেকশন হয়নি। দুই মাস ধরে জল বন্ধ রয়েছে। গ্রামে চারটি নলকূপ থাকলেও জল ঠিকভাবে ওঠে না। আর উঠলেও সেই আয়রন যুক্ত জল খাওয়ার উপযুক্ত নয়।'
অন্য এক বাসিন্দা নাসিমা পারভিন বলেন, 'আমার বাড়িতে এখনও ট্যাপ কল কানেকশন হয়নি। মাঠ থেকে স্যালো মেশিনের জল এনে পান করতে হচ্ছে।'
এছাড়াও এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল হাইয়ুম বলেন, প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কেউই গুরুত্ব দিচ্ছেন না।' পিএইচই-এর চাঁচল মহকুমার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ঘোষ বলেন, 'কী কারণে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।'
No comments:
Post a Comment