শক্তিশালী ভূমিকম্প নেপালে, কাঁপল বিহার-উত্তরাখণ্ড - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, April 4, 2025

শক্তিশালী ভূমিকম্প নেপালে, কাঁপল বিহার-উত্তরাখণ্ড



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫১:০১ : ভূমিকম্পের তীব্রতায় ফের কেঁপে উঠল নেপাল। শুক্রবার, এখানে প্রায় ৫.০ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যার কারণে নেপালের অনেক এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল, তবে উত্তর ভারতের অনেক জায়গায়, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং উত্তরাখণ্ডেও এর কম্পন মৃদু অনুভূত হয়েছিল।


কম্পন অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে, প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি একটি মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প ছিল, তবে ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে, সম্প্রতি মায়ানমার এবং ব্যাংককে যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে তা কেউ ভুলতে পারে না। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের সাথে মানুষ এখনও লড়াই করছে।



গত শুক্রবার মায়ানমারের সাগাইং শহরে আঘাত হানা শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি এমন এক ধ্বংসাত্মক দৃশ্য রেখে গেছে যা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। ভূমিকম্পের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে রাস্তাঘাটে ফাটল ধরে, ভবন ধসে পড়ে এবং অনেক জায়গায় গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়।



বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কো জাইর নামে এক ব্যক্তি মান্দালয় থেকে তার শহর সাগাইংয়ে ফিরছিলেন। তিনি বলেন, সাধারণত ৪৫ মিনিটের যাত্রা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন করা যায়। এই সময় তিনি ভাঙা সেতু, পতিত ভবন এবং ধ্বংসের ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছিলেন। জাইরের পরিবারের সদস্যরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারলেও, তার বেশ কয়েকজন বন্ধু এই দুর্ঘটনায় মারা যান। সাগাইং প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং সম্পদের অভাবে ত্রাণ কার্যক্রম সংগ্রাম করছে।




এদিকে, সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এখন পর্যন্ত ৩,১৪৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, এবং শত শত মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। মৃতদেহের দুর্গন্ধ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা তাদের গণকবরে দাফন করতে বাধ্য হয়। ভূমিকম্পের পর ক্রমাগত কম্পনের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে মাদুরের উপর ঘুমাচ্ছে মানুষ। মায়ানমারের সামরিক সরকার এবং গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিও ত্রাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করছে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad