১১৩ মিলিয়ন বছর পুরনো! পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন পিঁপড়ার সন্ধান, ঘুরে বেড়াত ডাইনোসরদের সঙ্গে - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, April 27, 2025

১১৩ মিলিয়ন বছর পুরনো! পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন পিঁপড়ার সন্ধান, ঘুরে বেড়াত ডাইনোসরদের সঙ্গে



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০:০১ : ১১৩ মিলিয়ন বছরের পুরনো একটি পিঁপড়ার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেটি ডাইনোসরদের সাথে পৃথিবীতে হেঁটে বেড়াত। ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আবিষ্কৃত এই প্রাচীন পিঁপড়াটিকে বিজ্ঞানীরা 'নরক পিঁপড়া' বলে অভিহিত করেছেন। এই 'নরক পিঁপড়া' এখন পর্যন্ত পাওয়া যেকোনও পিঁপড়ার মধ্যে সবচেয়ে পুরনো। এর বয়স প্রায় ১১৩ মিলিয়ন বছর বলে অনুমান করা হয়েছে। এর আবিষ্কারের সম্পূর্ণ বিবরণ 'কারেন্ট বায়োলজি' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ বিষয় হলো, এই পিঁপড়াটি চুনাপাথরে সংরক্ষিত পাওয়া গেছে, যেখানে আগে পাওয়া সবচেয়ে পুরনো পিঁপড়ার নমুনাগুলি অ্যাম্বারে ছিল। এই অ্যাম্বার নমুনাগুলি ফ্রান্স এবং মায়ানমার (বার্মা) থেকে পাওয়া গেছে। এই পিঁপড়াটি বিজ্ঞানীদের অবাক করেছে। এই আবিষ্কার পৃথিবীতে জীবনের বিবর্তন সম্পর্কে অনেক নতুন প্রশ্ন তুলেছে।


এই আশ্চর্যজনক আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে অ্যান্ডারসন লেপেকো এবং তার দল, যারা সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা জাদুঘরের সাথে যুক্ত। দলটি ব্রাজিলের 'ক্রাটো ফর্মেশন' নামক একটি স্থান থেকে এটি আবিষ্কার করেছে। এই অঞ্চলটি তার চমৎকার জীবাশ্ম সংরক্ষণের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। লেপেকো বলেন যে এই প্রথম আমরা পাথরের মধ্যে এত পুরনো 'নরক পিঁপড়া' দেখতে পেলাম।

এটি কোনও সাধারণ পিঁপড়া ছিল না। এর চোয়ালগুলি অদ্ভুতভাবে তৈরি ছিল, যা এটিকে শিকারের জন্য খুবই বিশেষ করে তুলেছিল। দলটি মাইক্রো-সিটি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশগুলির 3D ইমেজিং করেছিল। ফলাফলগুলি আশ্চর্যজনক ছিল। এই পিঁপড়ার খাদ্য যন্ত্রে এমন জটিল গঠন পাওয়া গেছে, যা দেখায় যে সেই সময়ের পিঁপড়ারাও একটি বিশেষ উপায়ে শিকার করতে শিখেছিল।

আরেকটি বিশেষ বিষয় ছিল যে এই পিঁপড়াটি মায়ানমারের অ্যাম্বারে পাওয়া নরক পিঁপড়ার সাথে খুব মিল। এর অর্থ হল পিঁপড়াগুলি ইতিমধ্যেই ১১ কোটি ৩০ লক্ষ বছর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তাদের শিকার পদ্ধতিতে একটি বিশেষ বৈচিত্র্য তৈরি করেছিল। এই আবিষ্কার আমাদের কেবল পিঁপড়ার বিবর্তনকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগই দেয় না, বরং ডাইনোসরের সাথে পৃথিবীতে কত আকর্ষণীয় এবং জটিল জীবন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল তাও নিশ্চিত করে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad