ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৫:০০: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছে। এই হামলায় নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই বিষয়ে এবারে পাকিস্তানের প্রথম প্রতিক্রিয়া এসেছে। এই সন্ত্রাসী ঘটনায় যে কোনও ধরণের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, "পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগসূত্র নেই। এর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা প্রতিটি রূপে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানাই।" তিনি ঘটনাটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলেও বর্ণনা করেছেন এবং এটিকে "গৃহে বেড়ে ওঠা বিদ্রোহ" বলে অভিহিত করেছেন।
বিবৃতিতে খাজা আসিফ আরও বলেন, ভারতের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলছে। নাগাল্যান্ড, কাশ্মীর, ছত্তিশগড় এবং মণিপুরের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, "এই হামলা কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে জনগণের বিদ্রোহের ফল। এসবই স্থানীয় পর্যায়ে ঘটছে। মানুষ তাদের অধিকার দাবী করছে।"
তিনি হিন্দুত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের শোষণের অভিযোগ এনে বলেন, 'মুসলিম, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের টার্গেট করা হচ্ছে।'
তবে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এই হামলা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। সন্ত্রাসীরা হামলার আগে স্থানীয় কাশ্মীরি সন্ত্রাসী এবং গ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের সহায়তায় এলাকাটি ঘুরে দেখেছিল। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর কম মোতায়েন থাকার কারণে বাইসারনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
সূত্রের মতে, সন্ত্রাসীরা বডিক্যাম পরা ছিল এবং পুরো হামলার ভিডিও ধারণ করা হয়। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, হামলাকারীরা নারী ও পুরুষকে আলাদা করে বেছে বেছে মেরেছে। এই হামলা শুধু সন্ত্রাসের উদাহরণই নয়, এতে সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা কতটা নিষ্ঠুর ও বর্বর ছিল তাও প্রমাণ করে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, হামলার পর সন্ত্রাসীরা জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল এবং এখন তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে থাকতে পারে। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহায়তায় তারা এমন জায়গা বেছে নেয় যেখান থেকে পালানো সহজ হবে এবং ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
এদিকে পাকিস্তান হয়তো এই হামলা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে, কিন্তু এ ধরণের হামলায় বারবার পাকিস্তানি অ্যাঙ্গেল দেখা গেছে।
No comments:
Post a Comment