ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩০:০০: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার বাবতপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এই সময় তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে রানওয়েতে উপস্থিত ছিলেন বারাণসী পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং কালেক্টর। আর অবতরণের পরেই কমিশনার সহ উপস্থিত অন্যান্যদের কাছ থেকে বারাণসী গণধর্ষণ মামলার সম্পূর্ণ তথ্য নেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই মামলার বিষয়ে পৃথকভাবে তিন আধিকারিকের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে। উল্লেখ্য, বারাণসীতে ১৯ বছরের এক তরুণীকে ২৩ জন পালাক্রমে সাতদিন দিন ধরে ধর্ষণ করেছে। ২৯ শে মার্চ, তরুণীকে তাঁর এক বন্ধু ধরে নিয়ে যায়, যে তাঁকে প্রথমে ধর্ষণ করে। এরপর অন্যান্যরা জায়গা বদলাতে থাকে এবং পরের ৬ দিন পর্যন্ত ২৩ জন তাঁর ওপর পাশবিক নির্যাতন করে। পুলিশ ১০ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ তাঁর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে ৫০তম সফরে এসেছেন, পূর্বাচলকে ৪৪টি উন্নয়ন প্রকল্প উপহার দিতে। নির্ধারিত সময়ের ২৪ মিনিট আগে কাশীতে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে রানওয়েতে তাঁকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে পুলিশ ও প্রশাসন উভয়ের কমিশনার এবং ডিএমের কাছ থেকে পৃথকভাবে এই মামলার বিষয়ে তথ্য নেন তিনি।
নির্যাতিতা তরুণী পান্ডেপুর এলাকার বাসিন্দা এবং একটি স্পোর্টস কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নির্যাতিতার মা বলেছেন যে, তার ভীত কন্যা পথ হারিয়ে ফেলে এবং এক দানব থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে পৌঁছানোর আশায় সে অন্য দানবের কবলে পড়ে। ২৯শে মার্চ বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার সময় তাঁর রাজ বিশ্বকর্মা নামে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। রাজ তাকে লঙ্কার একটি ক্যাফেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ৩০ মার্চ সমীর তাঁকে ধর্ষণ করে, আয়ুশ, সোহেল, দানিশ, আনমোল, সাজিদ, জাহিদ ৩১ মার্চ, সাজিদ এবং চার বন্ধু ১ এপ্রিল, রাজ খান (না করায় তাকে ধর্ষণ করেনি) ২ এপ্রিল, দানিশ, শোয়েব এবং অন্যরা তাকে ৩ এপ্রিল ধর্ষণ করে। এই সময়ের মধ্যে, তরুণী তাঁর এক বান্ধবীর বাড়িতেও থাকেন, তবে বাড়িতে ফেরার সময় অন্য কেউ তাঁকে তুলে নেয়।
No comments:
Post a Comment