প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১০:০১ : প্রথমবারের মতো, বাংলাদেশের নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে একটি ফ্রন্ট খুলেছেন। হাসিনা ইউনূসকে চোর এবং বাংলাদেশ সরকারকে সন্ত্রাসীদের সরকার বলে অভিহিত করেছেন। হাসিনা শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরে আসার কথাও বলেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে আলাপকালে হাসিনা বলেন, "আমি মৃত নই, যার অর্থ আমি আবার বাংলাদেশে ফিরে আসব। আল্লাহ তাআলা মানুষকে বার্তা দিয়েছেন। ফিরে আসার পর, আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং তার লোকজনকে জেল থেকে আদালতে টেনে আনব।"
হাসিনা বলেন, "আমার আমলে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ এটাকে উন্নত জাতি হিসেবে দেখত, কিন্তু ইউনূস এবং তার লোকেরা এটাকে সন্ত্রাসীদের দেশে পরিণত করেছে। সেখানে প্রতিদিন খুন হচ্ছে, কিন্তু সরকারের তাতে কোনও মাথাব্যথা নেই।"
হাসিনা জানান, বাংলাদেশে সাংবাদিক এবং আইনজীবীদের কথা বলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ধরণের লোকদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ ব্যবহার করে বিলাসিতা উপভোগ করার অভিযোগ করেন।
কথোপকথনের সময়, আওয়ামী লীগ কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা বলেন, "আমি বেঁচে আছি এবং শীঘ্রই বাংলাদেশে আসব। আপনারা সবাই ধৈর্য ধরুন। ন্যায়বিচার পাবেন। যে আপনাকে মারতে আসবে, তাকে খুঁজে বের করে এখানে আনা হবে।"
হাসিনা বলেন, "আল্লাহর ঘরে বিলম্ব আছে, কিন্তু কোনও অবিচার নেই।" এই সময় তিনি আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্যও নেন।
এ সময় হাসিনা কর্মীদের উদ্দেশ্যে আবেগঘন আবেদন করে বলেন, "কেন আমি প্রতিবারই রক্ষা পাই? সন্ত্রাসীরা আমার বাবা, মা এবং ভাইকে খুন করেছিল, কিন্তু আমি তখনও বেঁচে গিয়েছিলাম।"
তিনি আরও বলেছেন, "গতবারও আমাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু আমি বেঁচে গিয়েছিলাম। আল্লাহর ইচ্ছা কী তা আমি জানি না, তবে বাংলাদেশে অবশ্যই ভালো কিছু ঘটতে চলেছে।"
শেখ হাসিনার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন বিমসটেক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে হাসিনার হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের আবেদন জানিয়েছেন।
ইউনূস বলেন, "বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে, তাই তাকে হস্তান্তর করা উচিত।" ২০২৪ সালের আগস্টে অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা ভারতে আসেন।
No comments:
Post a Comment