প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫২:০১ : মুর্শিদাবাদ এবং ভাঙড়ে সহিংসতার পর, স্থানীয় প্রশাসন দাবী করছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মুর্শিদাবাদ নিয়ে বড় বক্তব্য দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "যারা একগুঁয়ে তারা কথায় কান দেবে না। দাঙ্গাবাজরা কেবল লাঠির শব্দ শুনবে। যারা বাংলাদেশকে পছন্দ করেন তাদের বাংলাদেশে যাওয়া উচিত। বাংলার সহিংসতার ব্যাপারে কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টি নীরব।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাংলা জ্বলছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী নীরব। তিনি দাঙ্গাবাজদের শান্তির দূত বলে ডাকেন। একগুঁয়ে ব্যক্তি কথা শুনবে না। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে দাঙ্গাবাজদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।" মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "গত এক সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদ জ্বলছে। সরকার নীরব। এই ধরণের অরাজকতা দমন করতে হবে।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি সেখানকার আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তারা সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই সেখানকার কষ্টের কথা শুনেছেন। সবাই চুপ। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস নীরব। তাকে একের পর এক হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের ভেতরে যা ঘটেছে তা সমর্থন করছে। যদি বাংলাদেশকে পছন্দ করেন তাহলে সেখানে যান, ভারতের মাটিতে বোঝা হয়ে উঠছেন কেন?"
১৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী হরদইতে ছিলেন। হরদইতে, মুখ্যমন্ত্রী ৬৫০ কোটি টাকা মূল্যের ৭২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতার দৃশ্য দেখা গেছে, রাস্তায় গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, শপিংমল লুট করা হয়েছে এবং ফার্মেসি ভাঙচুর করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে রবিবার রাস্তাঘাট জনশূন্য ছিল, দোকানপাট বন্ধ ছিল এবং মানুষ তাদের ঘরের মধ্যেই ছিল।
শত শত মানুষ নদী পার হয়ে মালদা জেলায় গিয়ে সেখানে আশ্রয় নেয়। আধিকারিকরা এই মর্মে তথ্য দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment